বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কয়েকদিন টানা সংঘর্ষের পর শান্তি বজায় রাখতে গত সোমবার সিয়াটল থেকে পুলিশ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয় প্রশাসন। এরপর থেকে শহরটিতে যত বিক্ষোভই হোক না কেন তার প্রায় সবই চলছে শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আবারও সিয়াটলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটে সিয়াটল কর্তৃপক্ষকে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের গভর্নর জে ইনসলির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন। আপনি না পারলে আমিই নেব।
আরেক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সিয়াটলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্টের এমন হুমকিতে খুব একটা বিচলিত নন গভর্নর ইনসলি। পাল্টা টুইটে তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, যে লোক শাসন করতে পুরোপুরি অক্ষম, তার ওয়াশিংটন রাজ্যের বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।
আর সিয়াটলের মেয়র জেনি ডুরকান বলেছেন, আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখুন। নিজের বাঙ্কারে ফিরে যান।
উল্লেখ্য, গত মাসে হোয়াইট হাউসের বাইরে শত শত বিক্ষোভকারী সমবেত হতেই ট্রাম্প সপরিবারে বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সে সময় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল হোয়াইট হাউসের সব বাতি।
যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক এ বিক্ষোভের সূত্রপাত জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। গত মাসে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান এ কৃষ্ণাঙ্গ।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। তার হাঁটুর নিচে চাপা পড়ে বাঁচার তীব্র আঁকুতি করছেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। আট মিনিটের বেশি সময় এভাবে চেপে রাখা হয় হাতকড়া পড়ানো ফ্লয়েডকে। এসময় তাকে বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না।
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। ধীরে ধীরে গোটা যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
বিপি।সিএম