ঝিনাইদহ থেকে সংবাদদাতা : মেহেরপুরের শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় ভাবিকে মারধর ও শ্লিলতাহানী করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামী গোলাম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ পৌরসভার বড় খাজুরা গ্রামের মৃত ছাদেক আলী মন্ডলের ছেলে।
তিনি বর্তমান মেহেরপুরে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ঝিনাইদহ সদর থানায় রেকর্ডকৃত মামলার (মামলা নং ২১) এজাহারে বাদী খাজুরা মাঝেরপাড়া গ্রামের খসরু হোসেনের স্ত্রী তহমিনা খাতুন অভিযোগ করেন গত ১৫ জুন তার দেবর রোকন আলী মন্ডল ইন্তেকাল করেন।
ওই দিন নামাজে জানাযা পড়ান তার পোতা ছেলে হাফেজ রাওফুল ইসলাম রাব্বি। দাফন শেষে আসামী গোলাম সিদ্দিকী লোকজনের সামনে উত্তেজিত হয়ে কেন তার ভাইয়ের জানাযা হাফেজ রাব্বি পড়ালো এ নিয়ে হৈচৈ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাব্বির পিতা মুক্তার হোসেন মুক্তোর সাথে এ নিয়ে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে গোলাম সিদ্দিকী বাদীসহ তার পোতা ছেলে হাফেজ রাব্বি ও পুত্রবধু সালমা খাতুনকে মারধর করে।
আহত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি আসামী গোলাম সিদ্দিকী। এ সময় বাদীর কাপড় খুলে বেআবরু করে শ্লিলতাহানী ঘটায়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় গত ১৬ জুন দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামীর বড় ভাবি মামলাটি করেছেন। তারা সম্পর্কে দেবর ভাবি। এটা একটি পারিবারিক বিরোধ। তিনি জানান আসামী গোলাম সিদ্দিকী ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে গোলাম সিদ্দিকীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিপি/আর এল