ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা: এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, করোনা ভাইরোসের সংক্রমণ রোধে ইমাম-মোয়াজ্জিনদে ভূমিকাই প্রধান। নামাজের পরে তারা মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে সচেতনমূলক বক্তব্য দিলে তাদের মাধ্যমে সমাজের সবার মাঝে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে।
বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহরের বদরপুরে অবস্থিত আফসানা মঞ্জিলস্থ বাসভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতার বিকল্প নেই। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সময় গত রোববার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কমলেশ চক্রবর্তী ভানুর মৃত্যুর পর শ্মশানে সৎকারে বাধার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, দুভার্গজনক হলো এই মুক্তিযোদ্ধার লাশ দাহ করতে তার সন্তানরা ব্যতিত কেউ উপস্থিত হলেন না। এটি খুবই দুঃখজনক। মৃত ব্যক্তি হতে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই, এটি সবাইকে বোঝাতে হবে। পরে তিনি উপস্থিত ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে অনুদানের টাকা বিতরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ৮১৫টি মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝে এ অর্থ প্রদান করা হবে। প্রথম দিনে পৌর এলাকার ২৩৪ জনের মাঝে এ অনুদান দেয়া হয়। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, ইসলামী ফাউন্ডেশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক শেখ অকরামুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা। এসময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল উপস্থিত ছিলেন।
বিপি/কেজে