জাকির হোসেন সুমন, ইতালি থেকে : কভিড ১৯ উহান থেকে শুরু করে যখন ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বময় ইউরোপে তখন এর প্রকোপ ভয়াবহতা মহামারী ছড়িয়ে পরে ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স।যাদের এখন ডুকুমেন্ট তৈরী হয়নি ,বিশেষ করে বেশি দিন হয়নি স্পেনে আসার তাদের কথা চিন্তা করেই প্রথমে স্টেট এলার্মা ঘোষণা দেয়ার পর পরই মানবতার কল্যানে,বিবেকের তাড়নায় এদিক ওদিক চিন্তা না করে পরিস্থিতির স্বীকার এই প্রবাসীদের পাশে থাকার কথা জানান রাসেল হাওলাদার।
স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সভাপতি এইচ এম রাসেল হাওলাদার ফেসবুক লাইভ এসে তিনি এ কথাগুলো বলার পরই অনেকে বিষয়টা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করলেও তিনি পিছপা হননি। প্রথমে নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী উপহার দেন। যখন থমকে গেছে গোটা পৃথিবী ,এমন۔۔এক মুহূর্তে এগিয়ে আসেন রাসেল হাওলাদার। অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীরা যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত এসময় এগিয়ে আসেন আরো দুই তরুণ কমিউনিটি নেতা নুরুল ওয়াহিদ ও শফিক খান। সবাইকে মিলে গড়ে তুলেন হেল্পিং হ্যান্ড নাম একটি ফেসবুক ভিত্তিক সংগঠন।এই সংগঠন গড়ে তুলেছে করোনা ভাইরাসের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ,যেখানে করোনা রোগী চিকিৎসা নিয়ে আসলে অথবা হাসপাতালের পরামর্শে আলাদা থাকতে হবে ,শুধু মাত্র তাদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয় ।
এছাড়াও ধারাবাহিকভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সহ রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিচ্ছেন।যা প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্ব মহলে।পরিবার নিয়ে যখন সবাই নিরাপদে বাসায় বন্দি আছেন,এ সময় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ ,আইসোলেশন সেন্টারসহ সমস্যাক্রান্ত প্রবাসীর বাসায় কিভাবে খাবার এর জিনিসপত্র পৌঁছে দিবেন এই ভাবনায় দিনমান۔۔ কেটে যায়।এমন۔۔ অনেক দিন আছে ,রাসেল হাওলাদার সকালে বের হয়েছেন, ফিরেছেন রাতে।ছোট ছোট বাচ্চা ও পরিবারের সদস্যের রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় করে এ ত্যাগে আনন্দ এবং তৃপ্তি খুঁজে পান।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শরীয়তপুর নিজ জেলায় অসহায়,হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের মাধ্যমে ৩১০০ শত মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন এছাড়া ৩০০ পিস্ পিপিই উপহার দেন।বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ প্রশংসিত হয়েছেন।
ব্যক্তি জীবনে একজন সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক এইচ এম রাসেল হাওলাদার বাংলাদেশ এসোসিয়েশান ইন কাতালুনিয়ার সিনিয়র সভাপতি। তার পরিচালনাধীন কাসা কুইন গ্রূপের চেয়ারম্যান তিন কন্যা ,স্ত্রী এবং ছোট ভাইসহ পর্যটন নগরী বার্সেলোনা বসবাস করেন।তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় আমি এ পর্যায়ে এসেছি।আমার সামর্থ্য উপর তাদের হক আছে ,বিলিয়ে দেয়ার মাঝে যে সুখটা অনেক কিছুতেই পাওয়া যায়না।রাসেল হাওলাদার আরো বলেন,জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি সেটাই আমার প্রত্যাশা।তিনি আরো বলেন ,যত দিন মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে সুস্থ-সবল রাখবেন ,ততোদিন মানুষের কল্যানে আমার পথচলা বহমান থাকবে।
বিপি।আর এল