এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম থেকে: কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক ভাওয়াইয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) ও শনিবার (২নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্বপ্নকুঁড়ি হল রুমে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ভাওয়াইয়া গবেষক অনন্ত কুমার দেব। ‘আন্তর্জাতিক স্তরে তিস্তা পাড়ের গান ও তার চর্চা’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ইউসুফ আলমগীর। আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, ভারত থেকে আসা ভাওয়াইয়া শিল্পী আয়েশা সরকার, অধ্যাপক ইয়াসমিন জাফরী রেমা, উদীচী কুড়িগ্রামের সভাপতি নেজামুল হক বিলু, কছিম উদ্দিন পরিষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মমিন, ড.এরশাদুল হক প্রমুখ।
ভাওয়াইয়া উৎসব উপলক্ষে বিকালে কুড়িগ্রাম বিজয় স্তম্ভ চত্বরে আলোচনাসভা শেষে ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন ভারতের আয়েশা সরকার, বাংলাদেশের ভুপতী ভূষণ বর্মাসহ দুই দেশের ভাওয়াইয়া শিল্পীরা। ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিন স্মরণে কুড়িগ্রামে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ভাওয়াইয়া উৎসবের আয়োজন করে বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি উলিপুর।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়ের বিজয় স্তম্ভ মঞ্চের নির্ধারিত প্যান্ডেল সীমানা ছাড়িয়ে শ্রোতাদের ভিড় হয় সড়কে। এমন সময় মঞ্চে ওঠেন ভারতের শিল্পী আয়শা সরকার। ‘সাধের ভোমরা, আজ পুতুলের অদিবাস, কাল পুতুলের বিয়া, পুতুল যাবে শশুর বাড়ি মুকুট মাথায় দিয়া….’, ‘দূর হাতে দেখং তোরে রেৃ বড় ঘরের কন্যা কোনার পিটি হাতে চুল, আয়না দিয়া খোপা বান্ধে ওড়ে গ্যান্দা ফুল’ প্রভৃতি বেশ কিছু জনপ্রিয় গান গেয়ে শ্রোতাদের মন মাতান তিনি। আমেনা ও সফিকুল ইসলামের দ্বৈত কন্ঠে গাওয়া ও ‘বন্ধু ধন, ও মোর সোনা বন্ধু ধন.. তোমরা আইসেন বন্ধু হামার কুড়িগ্রাম..’ গেয়ে জেলার বৈচিত্র্যকে তুলে ধরেন। এরপর একে একে আরও কয়েকজন শিল্পী শ্রোতাদের মন মাতিয়ে প্রথম দিনের উৎসব শেষ করেন। শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এই উৎসব চলে।
বিপি/কেজে