বাংলাপ্রেস ঢাকা: আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের পরামর্শে জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই জর্ডানের রাজধানী আম্মানে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুন সোমবার পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হানি মুকলি। খবর বিবিসি।
রোববার রাতে রাজপথে নেমে আসে দেশটির কয়েকহাজার মানুষ। এ বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে জর্ডান সরকারকে। সবশেষ জনগণের দাবির মুখে সোমবার পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ওপর অতিরিক্ত করারোপের প্রস্তাব দিয়ে গত মাসে সংসদে যে বিল পাঠানো হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই করবিল জর্ডানের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে তুলবে। সরকারি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা এখানে ওই বিল বাতিলের জন্য এসেছি’, ‘সরকার নির্লজ্জ’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকে।
রাজধানী আম্মানের বাইরে সারা দেশেই গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার পতনের দাবিতে তারা আন্দোলন করে যাচ্ছে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘নারীরা শিশুদের জন্য ডাস্টবিনে খাবার খুঁজতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও নতুন নতুন করারোপে জর্জরিত হচ্ছি।’
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের আয়ের সঙ্গে এ ধরনের কর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০১১ সালেও একই ধরনের দাবিদাওয়া নিয়ে শাসকদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল আরব বিশ্বের জনগণ। শেষ পর্যন্ত যা জন্ম দিয়েছিল আরব বসন্ত। তিউনিশিয়ায় শুরু হয়ে আরব বসন্তের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল মিশর, লিবিয়া, সিরিয়াসহ আরব দেশগুলোতে। কর্মসংস্থানের অভাব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রশাসনে দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছিল আরবরা, যার আঁচ এখনও কাটেনি। বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, বর্তমানে আরব দেশগুলোতে ফের একটি আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেতন কমছে ।