নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড (বেইন)-এর নির্বাচনে কম ভোট প্রাপ্ত প্যানেলকে নির্বাচিত ঘোষনা করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশি নির্বাচন কমিশনার। দু’দিনের শুক্র ও শনিবার (১০ ও ১১ নভেম্বর) নির্বাচনের ফলাফলে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকলেও নিজের ক্ষমতা বলে কম ভোট প্রাপ্ত প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষনা করায় প্রবাসীদের তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমন কর্মকান্ডে ধিক্কার জানিয়েছেন বোস্টন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বেইন-এর নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ। নির্বাচন কমিশনার আদালতের পুর্ব ঘোষিত আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক আগাম (এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা) ৬৯৪টি ভোট গণনা করে কম ভোট প্রাপ্ত প্যানেল তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদকে বিজয়ী ঘোষণা করায় প্রবাসীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন শত শত প্রবাসী।
যেহেতু আদালতের একটি পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা রয়েছে সেহেতু চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আদালতের নতুন নির্দেশনার। কিন্তু আদালতের পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরেই নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করেন। উক্ত ফলাফল ঘোষনার সময় খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ কেউই সম্মতি দেননি এবং কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
জানা যায়, আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধান নির্বাচন কমিশনের পছন্দের প্যানেলকে তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলে পাতানো ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একটি প্যানেলের সম্মতি ছাড়াই এক তরফাভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
লরেন্স সুপরিয়র কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক জেনিস ডব্লিউ. হাউ-এর পুর্ব ঘোষিত নির্দেশনায় অগ্রিম ভোট গণনা বাতিল হলে সভাপতি পদে মাহবুব-ই খোদা ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে অপর প্রার্থী তানভির মুরাদকে পরাজিত করবেন। বিচারকের নির্দেশ অমান্য করে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের প্রতিনিধিদের অসম্মতিতে জোর পূর্বক অগ্রিম ভোট (এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা) ৬৯৪টি ভোট যুক্ত করে তানভির মুরাদসহ তার প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান সালাউদ্দিন খান সৈকত। তার পাতানো ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)। দু’দিনের প্রাপ্ত ভোটে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
শুক্র ও শনিবার (১০ ও ১১ নভেম্বর) নির্বাচনের প্রায় ৬ হাজার ভোটারের মধ্যে মোট ভোট প্রদান করেন ১ হাজার ৬ শত ২৯ জন। এর মধ্যে সভাপতি পদে খোকা পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৫৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তানভির মুরাদ পেয়েছেন ৪৭৫ ভোট। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সহ-সভাপতি পদে সাজ্জাদুর রহমান সাজু পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭৯ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ তাজ উদ্দিন পেয়েছেন ৪ শত ৪১ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে রাজিবুর রহমান রাজিব পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শান্তা বাকী পেয়েছেন ৫ শত ৫৯ ভোট। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে আশিকুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাশিবুল আমিন সৈকত পেয়েছেন ৪ শত ৫৪ ভোট। সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদক পদে জহিরুল হুসেইন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ২৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী প্রিতম বড়ুয়া পেয়েছেন ৪ শত ৮৭ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মনিরুজ্জামান খান পেয়েছেন ১ হাজার ১শত ৩৯ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ইবনুল হাসান ইপু পেয়েছেন ৪ শত ৬৮ ভোট। যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ পদে এডি শুভ পেয়েছেন ১ হাজার ১শত ৩৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সেলিনা চৌধুরী পেয়েছেন ৪ শত ৭৮ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রেহানা পারভীন ইতি পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৩ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাহের নোহা আহমেদ পেয়েছেন ৪ শত ৭৩ ভোট। যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মৌসুমি রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৫১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নাসরিন শাহরিয়ার পেয়েছেন ৪ শত ৫৯ ভোট। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে বিএম রায়হানুজ্জামান পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ২৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ইসতিয়াক আহমেদ পেয়েছেন ৪ শত ৭৭ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে একরামুল পিজন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ৫ শত ১৯ ভোট। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে আমিন হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৩১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ মেরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ শত ৭৪ ভোট। গণসংযোগ সম্পাদক পদে পঙ্কজ চন্দ্র দাস পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাসুদ আকবর পেয়েছেন ৪ শত ৯৮ ভোট। নির্বাহী সদস্য পদে (এক) এসএম সাইফুর ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ১২ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আমতিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৪ শত ৯৮ ভোট এবং নির্বাহী সদস্য পদে (দুই) পদে মোঃ মাসুদ রানা পেয়েছেন ১ হাজার ১ শত ৪৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৪ শত ৫৮ ভোট।
উপরোক্ত ফলাফল থেকে (এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা) ৬৯৪টি ভোট বিয়োগ করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনার সালাউদ্দিন খান সৈকত অপর প্যানেল তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদের সাথে যোগসাজসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের এক সপ্তাহ আগে তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ ছিল গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ‘ডাকযোগে ভোট প্রদান’ প্রক্রিয়া। শুরু থেকেই খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ ডাকযোগে ভোট প্রদানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন। নির্বাচন কমিশন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের কোন অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ আদালতের শরণাপন্ন হন। আইনজীবির দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গবার (৭ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটসের দেওয়ানী কার্যবিধি বিধির ৬৫ ধারায় উক্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। আইনজীবির দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গবার (৭ নভেম্বর) ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের দেওয়ানী কার্যবিধি বিধির ৬৫ ধারায় লরেন্স সুপরিয়র কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক জেনিস ডব্লিউ. হাউ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।
নির্বাচন কমিশনার সালাউদ্দিন খান সৈকত জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা মাথায় রেখে আমরা সংবিধান মোতাবেক শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সান্ধ্য ভোট ও শনিবার (১১ নভেম্বর) দিনব্যাপী ভোট গ্রহন করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেসকে জানালেও সেটি তিনি পালন করেননি।
লরেন্স সুপরিয়র কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক জেনিস ডব্লিউ. হাউ-এর পুর্ব ঘোষিত নির্দেশনায় অগ্রিম ভোট গণনা বাতিল হলে সভাপতি পদে মাহবুব-ই খোদা ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে অপর প্রার্থী তানভির মুরাদকে পরাজিত করবেন। বিচারকের নির্দেশ অমান্য করে খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের প্রতিনিধিদের অসম্মতিতে জোর পূর্বক অগ্রিম ভোট (এক সপ্তাহ আগে রাতের অন্ধকারে গ্রহন করা) ৬৯৪টি ভোট যুক্ত করে তানভির মুরাদসহ তার প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান সালাউদ্দিন খান সৈকত। তার পাতানো ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)।
আদালতের পুর্ব ঘোষিত নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাত্র ১৫ ভোটের ব্যবধান নির্বাচন কমিশনের পছন্দের প্যানেলকে তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলে পাতানো ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের পক্ষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব-ই-খোদা (খোকা)। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে একটি প্যানেলের সম্মতি ছাড়াই এক তরফাভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, বেইনের কার্যকরী পরিষদের ১৫টি পদের জন্য এবারে দু’টি প্যানেলে ৩০ প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়। এবারের নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি ও ভোট কারচুপির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ‘ডাকযোগে ভোট গ্রহণের’ ঘোষনা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন একটি প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর আপত্তি জানায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে নিজের মনগড়া সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনার সালাউদ্দিন খান সৈকত অপর প্যানেল তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদে সাথে যোগসাজসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের এক সপ্তাহ আগে তানভির-তাজ-শান্তা পরিষদকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন শহরে গিয়ে রাতের অন্ধকারে ভোট গ্রহণ করেন। সবচেয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগ ছিল গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ‘ডাকযোগে ভোট প্রদান’ প্রক্রিয়া। শুরু থেকেই খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ ডাকযোগে ভোট প্রদানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন। নির্বাচন কমিশন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদের কোন অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি। ফলে নিরুপায় হয়ে তাদের আইনজীবির মাধ্যমে আদালতের শরণাপন্ন হন খোকা-সাজু-রাজিব পরিষদ।
বিপি।এসএম