বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী কারাগার থেকে জামিনে কারা মুক্তি পেয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ায় শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি মুক্তি পান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জানান, জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছানোর পর তা যাচাইবাছাই শেষে রাত ৮টার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একাধিক মামলায় তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। এ কারাগারে তার হাজতি নং-১৩৩৫/২১।
উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। মামলার এজাহারে রফিকুলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।
রাজধানীর মতিঝিল থানায় রফিকুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযোগ, তিনি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেয়ার হওয়ায় তাঁদের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় এবং রাজধানীর তেজগাঁও থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক মামলা হয়।
বিপি/কেজে