বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে আসরের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগান বাহিনী। ১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করল বাংলাদেশ দল।
এর আগে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
ম্যাচের শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার। সাকিবের আঘাতে ভাঙে এ জুটি। এর আগে দুজন যোগ করেন ৪৭ রান। ম্যাচের ৯ম ওভারের সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে তামিমের তালুবন্দী হন জাদরান।
আউট হওয়ার আগে ২২ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাকিবের বলে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রহমত শাহ। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী ৩৮ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। মিরাজের বলে হৃদয়কে ক্যাচ দেন এ ব্যাটার।
মূলত শাহিদীর বিদায়ের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আফগান ব্যাটিং লাইন আপ। একপর্যায়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১১২ রান। সেখানে থেকে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
এখানে বড় ভূমিকা রাখেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনেই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন।
আফগানিস্তানের দেয়া টার্গেটে প্রথমে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। প্রথম চার ওভারে কোনো ক্ষতি ছাড়াই ১৯ রান যোগ করেন দুজন। তবে পঞ্চম ওভারে এসে হয় ছন্দপতন।
ফজল হক ফারুকীর বল পয়েন্টের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন লিটন দাস। রান নেয়ার জন্য তামিম দৌড় দিলেও লিটন সাড়া দেননি। এ অবস্থায় তামিম ক্রিজে ফেরার আগেই ভেঙে যায় স্ট্যাম্প। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার আগে ৫ রান করেন তিনি।
সঙ্গীর বিদায়ের পরই ফেরেন লিটন। ফারুকীর করা পরের ওভারে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন এ ওপেনার। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পিচের অন্যপ্রান্ত তখন মিরাজ। এই দুই জনের জুটিতে শত রান জুটি পার করে বাংলাদেশ। এ সময় দেখে শুনে খেলে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের দলীয় ইনিংসে ২২. ৬ ওভারে মুজিব উর রহমানের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশত রান করেন মেহেদী। তার ফিফটি দলীয় শতরান পার করে বাংলাদেশ। ফিফটির পর পিচে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মিরাজ। দলীয় ২৮.১ ওভারে নাভিন-উল-হকের বলে হাশমতউল্লাহ হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। এ সময় তিনি করেন ৭৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস।
এরপর মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। তিনি দুই অংকের সংখ্যা পার করতে পারেননি। শেষ দিকে দেখে শুনে খেলে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগারদের দলীয় ইনিংসের ৩৪ ওভারে আজমতউল্লাহের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে অর্ধশত রান করেন শান্ত। তার ফিফটিতে জয়ের পথে বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।
আফগানিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকী, নাভিন-উল-হক ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বিপি/কেজে