Home রাজনীতি শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে ফখরুল মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন: কাদের

শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে ফখরুল মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন: কাদের

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে বুধবার তিনি এ অভিযোগ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন না এবং তার বিদেশ গমনে আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। শেখ হাসিনা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি তার বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, অন্যদিকে খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে তার সাজা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাকে আদালতের শরণাপন্ন হতেই হবে। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং এ বিষয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা নির্ধারিত বিষয়ে লজ্জাহীনভাবে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি এবং বিএনপি তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও ক্রমাগতভাবে সীমাহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যার উদারতাকে বিএনপি মহাসচিব শুধু অসম্মানই করেনি, গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উসকানিমূলক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইন, বিচার প্রক্রিয়া ও সংবিধান সম্পর্কে দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জলঘোলা করার অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছে! কিন্তু ইতিহাস জানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শুধু তাই নয়, খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ ও হুদাকে ভোটারবিহীন নির্বাচনে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল। খুনি খায়রুজ্জামানকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দিন খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ণ ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং প্রতিপক্ষকে হত্যা করার মতো নিকৃষ্ট মানসিকতা ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপির মতাদর্শ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট সরকারের সময় হাওয়া ভবনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুকন্যাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার উদ্দেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে গেলে বাসার প্রবেশ পথে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়।

তারপরও বঙ্গবন্ধুকন্যা সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে নিজ বাড়িতে অবস্থান ও উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন। এমন মানবিকতার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে দ্বিতীয় আরেকটি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: bpressusa@gmail.com
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী