নিজস্ব প্রতিবেদক: অবসরে গেলেন শীর্ষ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। দেশে ও বিদেশে নানা ফ্রন্টে তুমুল কোলাহলপূর্ণ অতিবাহিত করে তিনি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানলেন। শুক্রবার জয়েন্ট বেজ মায়ের-হেন্ডারসন হলে তার বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন উপস্থিত ছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বিমান বাহিনীর জেনারেল চার্লস ‘সিকিউ’ ব্রাউন। তিনি হবেন শীর্ষ সামরিক পদে দ্বিতীয় আফ্রিকান আমেরিকান। ওই পদে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন কলিন পাওয়েল।
জেনারেল মিলি তার চার দশকের দায়িত্ব পালনের সময় বিদেশে অগণিত গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন তাকে সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ করেন, তখন তিনি সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। তিনি ওই সময় থেকে সরাসরি হোয়াইট হাউসে রিপোর্টিং করতেন।
ওই পদে চার বছর মেয়াদকালটির (২০২১ সালে জো বাইডেনের অধীনেও অব্যাহত থাকে) সময় তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্যদের বিশৃঙ্খলাপূর্ণ বিদায়ের আয়োজন করেন, সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করেন, রাশিয়ার অভিযানের মুখে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করেন। গত মাসে মিলে বলেছিলেন, চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি একটির পর আরেকটি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে গেছেন।
মিলির স্থলাভিষিক্ত ব্রাউন ১৯৮৪ সালে বিমান বাহিনীর অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তার ৩,০০০ ফ্লাইট আওয়ারের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে ১৩০ ঘণ্টা ছিল যুদ্ধে। ‘সিকিউ’ হিসেবে পরিচিত ব্রাউন একবার ফ্লোরিডায় প্রশিক্ষণের সময় এফ-১৬ বিমান থেকে লাফিয়ে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন।
ব্রাউন ২০২০ সালে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের খুনের পর আবেগময় এক ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। তাতে তিনি আমেরিকান সামরিক বাহিনীতে বৈষম্যসহ নানা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন।
তিনি জানান, ‘ত্রুটিমুক্ত দায়িত্ব পালন’ করার জন্য তিনি চাপ অনুভব করেন। আর যারা তার বর্ণের কারণে তাকে বাহিনীতে চায় না, তাদের ভুল প্রমাণ করার জন্য তাকে ‘দ্বিগুণ পরিশ্রম’ করতে হয়।
বিপি।এসএম