মধ্যরাত থেকে উঠে যাচ্ছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা

বাংলাপ্রেস ডেস্ক
৩০ এপ্রিল, ২০২৩

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: দেশের প্রায় আড়াই লাখ জেলের দুই মাসের অপেক্ষা শেষ হলো। আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে উঠে গেছে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। এরই মধ্যেই জেলেরা নদীতে নেমেছেন। এবার নিষেধাজ্ঞায় কড়াকড়ি আরোপ করায় ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার ইলিশ উৎপাদন বেশি হতে পারে বলে আশা তাদের।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও মৎস্যবিজ্ঞানী এবং ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, বিগত বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার টন। তবে এবার সময় মতো জাটকা সংরক্ষণের ফলে ইলিশের উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। জেলায় পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশসহ অন্য মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক জেলে।

ইলিশ সংরক্ষণে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আইন অমান্যকারীর জন্য কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইলিশের অভয়ারণ্য বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী এই ছয় জেলা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। অভয়ারণ্য এলাকাগুলো মেঘনা নদীর চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেলে ৯০ কিলোমিটার, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, চাঁদপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদেরগঞ্জ উপজেলায় ২০ কিলোমিটার এবং হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে ৮২ কিলোমিটার। ছয়টি জেলার মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে ১৯ হাজার ৫০২ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লাখ ৬৭ হাজার টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বাড়বে।

বিপি>আর এল